২৫ আগ, ২০২৪
খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি, কলেজের ফান্ড আত্মসাৎ, শিক্ষকদের বেতন প্রদানে অনিয়ম, শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যহারসহ নানা বৈষম্যের প্রতিবাদে ৭দফা দাবী নিয়ে মাঠে নেমেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যে ৭দফা দাবি উত্থাপন করে আলোচনায় বসার সময়সীমাও শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। ২৫ আগষ্ট রোববার দুপুরে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসে সমঝোতার চেষ্টা করে লক্ষ্মীছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গোলাম মর্তুজা। প্রায় ২ঘন্টা আলোচনা চালিয়ে গেলেও সমাধানের পথে না আসায় শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বেড়িয়ে রাস্তায় নেমে এসে পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ করে। শিক্ষার্থীরা অধ্যেক্ষের কক্ষে তলা লাগিয়ে দেয় বলে জানা গেছে। পুলিশ খবর পেয়ে বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীদর সরিয়ে দিতে চাইলেও লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ি সড়ক অবরোধ করে রাখে। লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাটি অবগত হলে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জরুরী মিটিং শেষ করে বিষয়টি দেখবেন বলে শিক্ষার্থীদের জানান।
পরে লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার ফটিকছড়ি এলাকায় বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে ফেরার পথে শিক্ষার্থীদের অবরোধ দেখে ঘটনাটি বিস্তারিত জেনে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা শেষে সঠিক সমাধানের পথ খুজেঁ আগামী বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত সময় চাওয়া হলে শিক্ষর্থীরা মেনে নিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে।
শিক্ষার্থীদের প্রধান সমন্বয়ক সবুজ কান্তি দাশ বলেন, অধ্যক্ষকে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে কখনোই পাওয়া যায় না। আমরা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা এক বছর পার হয়ে গেলো কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরী,খেলার সরঞ্জাম চোখেই দেখেনি। শুধুমাত্র, বোর্ড থেকে তদন্তে আসার দিনই কেবল শিক্ষার্থীদের ল্যাব ও লাইব্রেরী খুলে দেওয়া হলেও প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয় না। তাছাড়া, বেতন প্রদানে অনিয়মের কারণে গত এক বছর ধরে আইসিটিসহ গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষকের এক বছরের অনুপস্থিতি এবং বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাশ চোখে পড়েনি। সরকারি ফি বহির্ভূত অতিরিক্ত ফি আদায় করেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, সকল সম্মানীত শিক্ষক ও কর্মচারীরা অধ্যক্ষের বাজে আচরণে অতিষ্ঠ এবং চাকরি হারানোর শংকায় মুখ খুলে কিছুই বলতে পারছেন না।
উল্লেখ্য অভিভাবকের পক্ষ হতে এর আগেও কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গোলাম মর্তৃজার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করা হয় দুদকসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে। তবে সেসব অভিযোগের তদন্ত ছিলো কচ্ছপগতির। অভিভাবক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা মনে করেন সুষ্ঠু ও সঠিক তদন্ত করে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ব্যবস্থা নেয়া হলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না বলে ধারনা।
অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গোলাম মর্তুজা এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি অসুস্থ্য, শিক্ষার্থীরা যে দাবি উত্থাপন করেছে আমি তা মেনে নিয়েছি। কলেজের আয়-ব্যয় হিসেব-নিকেশ উপস্থাপনের জন্য কয়েকদিন সময় চেয়েছেন তিনি।
Author: Laxmichari Sangbad
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: